অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরের টঙ্গীর সাতাইশে একটি বিদেশি টুপি তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল রবিবার রাত ৯ টার দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
সম্পূর্ণ রপ্তানিমুখী টুপি তৈরির জিজে ক্যাপস এন্ড হেডওয়ার নামক কারখানাটিতে শ্রমিকদের বেতন-ভতা জটিলতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিক পক্ষ শ্রমিকদের মারধরের পর শ্রমিকরা কারখানাটির ৫তলায় আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মালিক পক্ষের অভিযোগ।
কারখানাটিতে ১৬৫০ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। ৭তলা ভবনের ৫ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীও যোগ দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে রবিবার সকাল থেকে বেতন ভাতা, ওভারটাইমসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকদের ঝামেলা চলছিল। একপর্যায়ে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। রাত পর্যন্ত চলে এ ঝামেলা। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের উপর আক্রমণ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান জনকণ্ঠকে রাতে জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানে ইট পাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর চালালে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। একপর্যায়ে তারা পুলিশের উপর হামলা চালালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের ছত্রবঙ্গ করে দেয়া হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাতে পঞ্চম তলার ফ্লোরে থাকা ক্যাপে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে মালিক পক্ষ।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের মুখপত্র ইকবাল হাসান জনকণ্ঠকে জানান, খবর পেয়ে প্রথমে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট নিয়ে উপস্থিত হন। পরে আগুনের ভয়াবহতা দেখে আরো ছয়টি ইউনিট উত্তরা জয়দেবপুর থেকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ দিকে, টঙ্গীর সাতাইশে বিদেশি ক্যাপ (টুপি) তৈরি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
অপরদিকে, কারখানা কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিকরা বলছেন, তারা কারখানায় আগুন লাগাননি। রাত ৯টার দিকে কারখানায় কাজ করার সময় হঠাৎ করেই ৫ তলার ফ্লোরে আগুন ধরে গেলে তারা দৌড়াদৌড়ি করে কারখানা থেকে নিচে নেমে আসতে আসেন।
Leave a Reply